Daily Amol | Zikir | Doa | Sunnah | Quran Tafsir

আমল কর্ণার

ইসলামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সহজবোধ্যভাবে উপস্থাপন করাই এই ব্লগ সাইটের উদ্দেশ্য। আত্মশুদ্ধি ও তাসাউফ, দোয়া, দৈনিক আমল, মাসআলা, শিক্ষনীয় ঘটনাবলী, দৈনিক করণীয় সুন্নাহ, ইসলামিক বই পরিচিতি বিষয়ে নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন।

আল্লাহ তায়ালার কাছে সর্বাধিক প্রিয় আমল, ‘যে আমল সর্বদা করা হয় চাই তা কম হোক’ (বুখারি : ৬৪৬৫)।
যেকোনো আমল নিয়মিত করা ছিল প্রিয় নবী (সা.)-এর পছন্দের শীর্ষে।

দৈনিক করণীয় আমল

৭০টি ছোট আমল যাতে রয়েছে বহু ফজিলত

আমল: ১ প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুণ – আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু...

ঈদের রাতের ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আমল

ঈদের রাতটি মুসলিমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। এ রাতে জেগে থেকে ইবাদতের ফলে মুমিনের জন্য জান্নাত...

সব ধরনের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকার সুন্নাহ্

দুষ্টু জিনেরা অদৃশ্য থেকে মানুষের ক্ষতি করে আর খারাপ মনের মানুষেরা নিজেদের আড়াল করে আমাদের সাফল্যকে...

অবিশ্বাস্য ফজিলতের ৫টি জিকির

প্রিয়নবী (স.) উম্মতকে কিছু নির্দিষ্ট দোয়া ও জিকির প্রতিদিন ১০০ বার করার জন্য উৎসাহিত করেছেন এবং...

দৈনিক করণীয় সুন্নাহ

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো ইবাদত

বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো তথা যাবতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ আল্লাহর পক্ষ থেকে পৃথিবীবাসীর...

রোগী দেখতে যাওয়া রাসূল সা.-এর সুন্নাত

ইসলামে রোগী দেখতে যাওয়াকে সুন্নত বলা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে এ ব্যাপারে অনেক হাদিস বর্ণিত...

নামাজে সুতরাহ ব্যবহারের সুন্নত

নামাজি ব্যক্তির সামনে দিয়ে আসা-যাওয়া নিষিদ্ধ ও গুনাহের কাজ। নামাজি ব্যক্তির সামনে দিয়ে মানুষের...

ছোট ছোট কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত

১. ভালো কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, কোনো শুভ সংবাদ শোনা হলে, কেউ ‘কেমন আছো’ জিজ্ঞেস করলে- তার জবাবে...
জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া
প্রথম দোআ:

 اللَّهُمَّ أَجِرْنِي مِنَ النَّارِ

 উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আঝিরনি মিনান নার।
 অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর।’
ফজিলত: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর কথা বলার আগে সাত বার এ দোয়াটি পড়া। যদি কেউ ফজরের পর পড়ে এবং ঐ দিনের মধ্যে মারা যায়, ঐ ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। আর কেউ যদি মাগরিবের নামাজের পর এ দোয়াটি পড়ে এবং ঐ রাতে মারা যায় তবে তার জন্য জাহান্নাম হতে মুক্তি লিখে দেওয়া হয়। (মিশকাত, আবু দাউদ)

দ্বিতীয় দোআ:

 اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ’উযু বিকা মিনান্নার।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই।
ফজিলত: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ৩ বার জান্নাত প্রার্থনা করে, জান্নাত আল্লাহর কাছে দুয়া করে, হে আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করো। যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ৩ বার জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে, জাহান্নাম আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, হে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দাও”। (তিরমিযিঃ ২৫৭২, ইবনে মাজাহ ৪৩৪০)

তৃতীয় দোআ: কবর ও জাহান্নামের আযাব এবং জীবন, মৃত্যু ও দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাওয়ার দোআ

‎اللَّهُــمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবর, ওয়া মিন ‘আযা-বি জাহান্নাম, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ্ইয়া ওয়াল মামা-ত, ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার অনিষ্টতা থেকে। বুখারী ২/১০২, নং ১৩৭৭; মুসলিম ১/৪১২, নং ৫৮৮।
অডিও শুনুন
জান-মাল, দ্বীন-ঈমান হেফাযতের দোয়া
সকাল-সন্ধ্যায় নিম্নোক্ত দোয়াটি পাঠ করিলে ইহার বরকতে আল্লাহপাক তাহার দ্বীন-ঈমান, জান-মাল, আওলাদ-পরিজনকে হেফাযতে রাখেন এবং আমলকারীর অন্তর ইহাদের ব্যাপারে পেরেশানী ও উদ্বেগ হইতে মুক্ত হইয়া যায়। 

بِسْمِ اللَّهِ عَلَي دِيْنِيْ وَ نَفْسِيْ وَ وَلَدِيْ وَ اَهْلِيْ وَ مَالِيْ

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আলা দ্বীনী ওয়া-নাফছী ওয়া-ওয়ালাদী ওয়া-আহলী ওয়া-মালী। ( কানযুল-উম্মাল ২য় খন্ড, ৬৩৬ পৃষ্ঠা )

যে দোয়ায় গুনাহ মাফ ও শয়তান থেকে রক্ষা
এক হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর দশ বার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু… পড়বে, বিনিময়ে তার আমলনামায় চারজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব লেখা হবে, দশটি নেকি লেখা হবে, দশটি গুনাহ মাফ হবে, দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে ও এ কালিমাগুলো সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য শয়তান থেকে হেফাজতের কারণ হবে। তেমনি মাগরিবের পর পড়লে অনুরূপ সওয়াব মিলবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান থেকে হেফাজতে থাকবে।

لا إلهَ إلاَّ اللَّه وحْدهُ لاَ شَرِيكَ لهُ، لَهُ المُلْكُ، ولَهُ الحمْدُ، وَهُو عَلَى كُلِّ شَيءٍ قَدِيرٌ

উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু। ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই, রাজত্ব একমাত্র তারই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তারই জন্য, আর তিনি সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৫১৮)

উদ্বেগ ও চিন্তামুক্তির দোয়া

حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ

উচ্চারণ: হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজীম।
অর্থ: আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। তারই ওপর আমি ভরসা করি। তিনিই মহা আরশের অধিপাতি।
‘যে ব্যক্তি সকালে সাত বার এবং বিকালে সাত বার এ দোয়া পাঠ করবে আল্লাহতায়ালা তাকে দ্বীন ও দুনিয়ার সব ধরনের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেবেন। ’ -সুনানে আবু দাউদ: ৫০৮৩, কানজুল উম্মাল: ৫০১১
অডিও শুনুন
কোনো বিপদে পড়লে যে দোয়া পড়বেন
হজরত আনাস বিন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিপদাপদের সময় এ দোয়া পাঠ করতেন-

يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ

উচ্চারণ : ‘ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছ।’
অর্থ : হে চিরঞ্জীব! হে সকল বস্তুর রক্ষক! আমি তোমার রহমতের ওসিলায় তোমার সাহায্য প্রার্থনা করছি।’ (তিরমজি)

হজরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিপদ-মুসিবতের সময় এ দোয়া পাঠ করতেন-
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আ’জিমুল হালিম; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আ’রশিল আ’জিম; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আ’রশিল কারিম।’
অর্থ : ‘আল্লাহ্ ব্যতিত সত্য কোনো মা’বুদ নেই, তিনি অতি মহান, অতি সহনশীল। আল্লাহ্ ব্যতিত কোনো সঠিক ইলাহ্ নেই, তিনি বিশাল আরশের মালিক। আল্লাহ্ ব্যতিত সত্য কোনো মা’বুদ নেই, তিনি আসমান-জমিনের এবং মহান আরশের মালিক।’ (বুখারি)

দোয়ায়ে ইউনুস (আ.): রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মাছের পেটে ইউনুস (আ.) এ দোয়া পড়ে আল্লাহকে ডেকে ছিলেন এবং মুক্তি পেয়েছিলেন। যদি কোনও মুসলিম বিপদে পড়ে এ দোয়া পাঠ করে, আল্লাহ তা কবুল করবেন। ’ (আহমাদ, তিরমিজি, মিশকাত, হাদিস নম্বর: ২২৯২)।
উচ্চারণ: ‘লাইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহা-নাকা ইন্নি কুনতুমিনাজ্জালিমিন’ (সুরা আম্বিয়া: ২১/৮৭)
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোনও উপাস্য নেই, তুমি মহাপবিত্র। নিশ্চয়ই আমি সীমা লঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
অডিও শুনুন
তওবার দোয়া
হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, আমি রাসুল সা.-এর চেয়ে আর কাউকে এটি অধিক পরিমাণে পড়তে দেখিনি।’

أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ وَأَتوبُ إِلَيْهِ

উচ্চারণ: ‘আসতাগফিরুল্লাহা ওয়া আতূবু ইলাইহি।’
অর্থ: ‘আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং তাঁর নিকট তওবা করছি।’

‘আস্তাগফিরুল্লাহ।’
অর্থাৎ, ‘আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সালাম ফেরানোর পর রাসুলুল্লাহ (সা.) এ ইস্তিগফারটি তিনবার পড়তেন। (মিশকাত)

‘আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া তুবু ইলাইহি।’
অর্থাৎ, আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর কাছ থেকে ফিরে আসছি।
এ ইস্তিগফার প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ বার পড়ার নিয়ম। রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তওবা ও ইস্তিগফার করতেন। (বুখারি)

‘রাব্বিগফিরলি, ওয়া তুব আলাইয়্যা; ইন্নাকা আংতাত তাউয়্যাবুর রাহিম।’
অর্থাৎ, হে আমার প্রভু, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তওবা কবুলকারী করুণাময়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এ দোয়া একশবার পড়েছেন। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)

‘আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া তুবু ইলাইহি।’
অর্থাৎ, আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তওবা করে) ফিরে আসি।
দিনের যেকোনো ইবাদত-বন্দেগি তথা ক্ষমা প্রার্থনার সময় এভাবে তওবা-ইস্তিগফার করা যেতে পারে। হাদিসে আছে, এভাবে তওবা-ইস্তিগফার করলে আল্লাহ–তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়। (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত)

‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)
সহজ কয়েকটি দরুদ শরিফ
‘আল্লাহুম্মা সল্লিআলা মুহাম্মাদিউ ওয়ালা আলী মুহাম্মাদ- কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়ালা আলী ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুন মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিউ ওয়ালা আলী মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইবরাহিমা ওয়ালা আলী ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুন মাজিদ।
অর্থ: ইয়া আল্লাহ! মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মুহাম্মদের পরিবার এবং পরিজনের ওপর রহমত বর্ষণ করুন। যেভাবে রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহিম আলাইহিস সাল্লাম ও তার পরিবার পরিজনের ওপর। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত ও মহান। ইয়া আল্লাহ! মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মুহাম্মদের পরিবার এবং পরিজনের ওপর বরকত করুন। যেভাবে বরকত নাজিল করেছেন ইবরাহিম আলাইহিস সাল্লাম ও তার পরিবার পরিজনের ওপর। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত ও মহান। -সহিহ বোখারি

‘আল্লাহুম্মা সল্লিআলা মুহাম্মাদিউ ওয়ালা আলী মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়ালা আলী মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইবরাহিমা ফিল আলামিন ইন্নাকা হামিদুন মাজিদ।
অর্থ: ইয়া আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ ও মুহাম্মদের পরিবারের ওপর রহমত নাজিল করুন, যেমনিভাবে ইবরাহিমের ওপর নাজিল করেছেন এবং পৃথিবীতে মুহাম্মদ ও মুহাম্মদের পরিবার এবং পরিজনের ওপর বরকত নাজিল করুন, যেমনি ইবরাহিমের পরিবারের ওপর বরকত নাজিল করেছেন। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত মহান। ’ -সহিহ মুসলিম

আল্লাহুম্মা সল্লিআলা মুহাম্মাদিন আবদিকা ওয়া রাসূলিকা কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়া বাকির আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা ওয়ালা আলী ইবরাহিমা।
অর্থ: ইয়া আল্লাহ! আপনার রাসূল ও বান্দা মুহাম্মদের ওপর রহমত নাজিল করুন, যেমনিভাবে ইবরাহিমের ওপর নাজিল করেছেন এবং মুহাম্মদের ওপর ও মুহাম্মদের পরিবারের ওপর বরকত নাজিল করুন, যেমনিভাবে বরকত নাজিল করেছেন ইবরাহিমের পরিবারের ওপর। ’ –সহিহ বোখারি
কুরআনে বর্ণিত মোনাজাত সমূহ
رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا ۖ إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيم
রব্বানা-তাকাব্বাল মিন্না-ইন্নাকা আনতাছ ছামী‘উল ‘আলীম।
হে আমাদের রব, আমাদের পক্ষ থেকে কবূল করুন। নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। (সূরা আল-বাকারাঃ ২:১২৭)

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
রব্বানাআ-তিনা-ফিদ্দুনইয়া-হাছানাতাওঁ ওয়া ফিল আ-খিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়া কিনা-‘আযা-বান্না-র।
হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন। আর আখিরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন। (সূরা বাকারাঃ ২:২০১)

رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
রব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।
হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না, যার সামর্থ্য আমাদের নেই। আর আপনি আমাদেরকে মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আর আমাদের উপর দয়া করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক। অতএব আপনি কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন। (সূরা বাকারাঃ ২:২৮৬)

رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ
রব্বানা-লা-তুঝিগ কুলূবানা-বা‘দা ইয হাদাইতানা -ওয়াহাবলানা-মিল্লা দুনকা রাহমাতান ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহা-ব।
হে আমাদের রব, আপনি হিদায়াত দেয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা। (সূরা আল-ইমরানঃ ৩:৮)

رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
রব্বানা ইন্নানা আ-মান্না-ফাগফিরলানা-যুনূবানা-ওয়াকিনা‘আযা-বান্না-র।
হে আমাদের রব, নিশ্চয় আমরা ঈমান আনলাম। অতএব, আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন। (সূরা আল-ইমরানঃ ৩:১৬)

رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
রব্বানা-জালামনাআনফুছানা-ওয়া ইল্লাম তাগফির লানা-ওয়া তারহামনা-লানাকূনান্না মিনাল খা-ছিরীন।
হে আমাদের রব, আমরা নিজদের উপর যুলম করেছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদেরকে দয়া না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব। (সূরা আরাফঃ ৭:২৩)
সব ধরনের পেরেশানী থেকে মুক্তির দোয়া
উচ্চারণ : ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিস।
অর্থ : হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী! আপনার রহমতের অসিলায় আমি সাহায্য কামনা করছি।

দ্বীন ও ঈমানের ওপর স্থির থাকার দোয়া

উচ্চারণ : ‘ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুবি, ছাব্বিত কালবি আলা দ্বীনিকা।’

অর্থ : ‘হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আপনি আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের ওপর অবিচল রাখুন।’

নামাজ

নফল নামাজ

মূলত মানুষকে সৃষ্টিই করা হয়েছে মহান আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য। যে যত বেশি আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হবে, তার প্রাপ্তি ও প্রতিদানও অনুরূপ...

Read More
সিজদায়ে সাহু

‘সিজদায়ে সাহু’ মানে ভুলের সিজদা। নামাজে কোনো ওয়াজিব ভুলক্রমে ছেড়ে দিলে সিজদায়ে সাহু দিতে হয়। তখন সিজদায়ে সাহু দেওয়া ওয়াজিব। সিজদায়ে সাহুর...

Read More
নামাযের নিষিদ্ধ সময়

১. সূর্যোদয়ের সময়, যতক্ষণ না তার হলুদ রং ভালোভাবে চলে যায় এবং আলো ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এর জন্য আনুমানিক ১৫ থেকে ২০...

Read More
ফরয নামাজ কিভাবে আদায় করতে হয়

পবিত্রতা অর্জ করে নামাজের নিয়্যত করতে হবে। কোন নামাজ পড়ছেন মনে মনে এতটুকু থাকাই নিয়্যতের জন্য যথেষ্ট। তবে তার সাথে মুখে উচ্চারণ...

Read More

রোজা

আশুরার রোজা

মুহাররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা আরবি সনের প্রথম মাস মুহাররম। মুহাররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা। এই দিন বছরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিন। পাপ মুক্তি...

Read More
নবীদের রোজা পালন

মানুষের হেদায়াতের জন্য যুগে যুগে নবী রাসুল এসেছেন পৃথিবীতে। মানুষকে আল্লাহর কাছে প্রিয় হওয়ার সব পথ ও পদ্ধতি বাতলে দিয়ে উম্মতকে চির শান্তির...

Read More
রমজানের রোজা না রাখার ভয়াবহ শাস্তি

রোজা ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। আল্লাহ মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের ওপর রমজানের রোজা ফরজ করেছেন। পূর্ববর্তী উম্মতের ওপরও রোজা ফরজ ছিল। রোজার সুফল হলো এর...

Read More

আত্মশুদ্ধি ও তাসাউফ

অন্তর কঠিন হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, মুমিন বান্দা যখন গুনাহ করে তার অন্তরে একটি কালো দাগ পড়ে যায়। এরপর সে তাওবা করে ক্ষমা চাইলে তার অন্তর পরিষ্কার হয়ে যায় (কালিমুক্ত হয়)। আর যদি গুনাহ বেশি হয় তাহলে কালো দাগও বেশি হয়। অবশেষে তা তার অন্তরকে ঢেকে ফেলে। এটা ...
অলসতা ও উদাসীনতা থেকে মুক্তির উপায়
অলসতা উদ্যমহীনতা ও উদাসীনতা এমন রোগ যা মানুষকে দুনিয়া ও আখেরাতের সাফল্য থেকে পিছিয়ে দেয়। কিছু বিষয় আছে যার ফলাফল তাৎক্ষণিক পাওয়া যায় না। ভবিষ্যতে মেলে। পদে পদে আসে, পালাবদল করে আসে। অলসতা, বেখেয়ালিপনা, গাফলতি—এর অনেক নাম থাকলেও এটি এমন এক রোগ, যার খারাপ পরিণতি থেকে ...
অহংকারের কুফল ও অহংকারীর পরিণতি
প্রত্যেক মানুষের মধ্যে দুটি শক্তি লুকায়িত থাকে। একটি ফেরেশতার চরিত্র বা ইতিবাচক গুণাবলি আর দ্বিতীয়টি হলো শয়তানি চরিত্র বা মন্দ স্বভাব। নেতিবাচক স্বভাবের একটি হলো অহংকার। অহংকার শয়তানের চরিত্র। এই অহংকার ও হিংসাই ইবলিশকে ফেরেশতাদের শিক্ষক থেকে শয়তানে পরিণত করেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সে (ইবলিশ সম্মানিত ...
আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার গুরুত্ব
মানুষ একে অপরের সাথে বিভিন্ন সম্পর্কে জড়িত। মানুষের মাঝের এই সম্পর্কের নাম হচ্ছে ‘আত্মীয়তা’। পরস্পরের সাথে জড়িত মানুষ হচ্ছে একে অপরের ‘আত্মীয়’। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজে আত্মীয়তার সম্পর্ক সর্বতোভাবে জড়িত। আত্মীয় ছাড়া এ জীবন অচল। আত্মীয়দের সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও ভালবাসা নিয়েই মানুষ এ পার্থিব জীবনে বেঁচে ...
আমাদের দোয়া কবুল হয় না কেন
প্রত্যেক মুসলমান প্রতিদিন কিছু না কিছু আল্লাহ তাআলার কাছে চেয়ে থাকেন। যারা আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, তাদের কারও দোয়া কবুল হয়, আবার কারও হয় না। আর দোয়া কবুল না হওয়ার অবশ্যই কোন না কোনো কারণ রয়েছে। অনেক মানুষ আছেন, আল্লাহর কাছে বারবার দোয়া করার পরও প্রত্যাশিত ...
আমানত রক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, আস্থা, নিরাপত্তা, আশ্রয়, তত্ত্বাবধান ইত্যাদি। সহজ ভাষায়, কারো কাছে কোনো সম্পদ, অর্থ, বস্তু গচ্ছিত রাখাকে আমানত বলা হয়। আর যিনি গচ্ছিত বস্তু যথাযথভাবে হেফাজত করেন এবং যথাসময়ে ফেরত দেন, তাকে আল-আমিন তথা বিশ্বস্ত আমানতদার বলা হয়।ইসলাম মুসলমানদের আমানতদারিতার প্রতি বিশেষ তাগিদ দেয়। ...
ইসলামের আলোকে দৃষ্টি হেফাজতের গুরুত্বপূর্ণ কৌশল
বর্ণিত আছে, মিশরে এক যুবক ছিল। যে সব সময় মসজিদে পরে থাকতো এবং সালাত আদায় করত। সে মসজিদে আজানও দিত। তার চেহারায় আনুগত্যের ছাপ ও ইবাদতের জ্যোতি জ্বলজ্বল করত। একদিন সে আজান দেওয়ার জন্য মিনারে উঠল। মিনারের নিচেই ছিল এক খ্রিস্টানের বাড়ি। সে ওই বাড়ির দিকে ...
ইসলামের দৃষ্টিতে হাদিয়া আদান-প্রদান
হাদিয়া আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে উপঢৌকন, উপহার ইত্যাদি। ভালোবাসা ও আন্তরিকতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও অন্যদের যে উপহার আদান প্রদান করা হয় তাকে হাদিয়া বলে। উপহার বিনিময় সামাজিক জীবনের একটি সাধারণ অনুষঙ্গ। উপহার প্রদানের মাধ্যমে সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি পায়। হাদিয়া বিনিময় একটি প্রশংসনীয় সুন্নত। ...
ঈদ সালামি
ঈদ আরবি শব্দ। যার অর্থ খুশি, আনন্দ, ফিরে আসা ইত্যাদি। যেহেতু প্রতি বছর দিনটি ফিরে আসে তাই, একে ঈদ বলা হয়। ঈদ আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহ। ইসলামের দৃষ্টিতে ঈদ সালামি দেওয়ার এ প্রচলনে কোনো আপত্তি বা ধর্মীয় বাধা-নিষেধ নেই। বরং এর মাধ্যমে ছোটদের প্রতি স্নেহ, মমতা ...
ঈদের রাতের ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আমল
ঈদের রাতটি মুসলিমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। এ রাতে জেগে থেকে ইবাদতের ফলে মুমিনের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হওয়ার সুসংবাদ দেয়া হয়েছে। ঈদের রাত শুধু আনন্দ উৎসবের রাত নয়। বরং আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও সেতুবন্ধনের রাত এটি। ঈদের রাতের ইবাদাত বন্দেগির ফজিলত, গুরুত্ব ও মর্যাদা অনেক। এ ...
কর্মক্ষেত্রে কাজে অবহেলা বড় গুনাহ
মেধা-মনন, বুদ্ধি, দক্ষতা ও কায়িক শ্রমের বিনিময়ে জীবিকা নির্বাহ করা বৈধ। দায়িত্বশীল ও কর্মক্ষমদের কাজে উৎসাহিত করেছে ইসলাম। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘সর্বোত্তম কর্মী সেই ব্যক্তি, যে শক্তিমান ও দায়িত্বশীল।’ (সুরা কাসাস, আয়াত : ২৬) কোনো প্রতিষ্ঠানে মাসিক বেতনের বিনিময়ে চাকরিতে যোগদানের মানে সে প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুসারে মেধা ...
গুজব ছড়ানোর গুনাহ
দুষ্টু লোকেরা সাধারণ মানুষকে নানাভাবে প্রতারিত ও বিভ্রান্ত করে থাকে। সহজ-সরল মানুষের মাঝে মিথ্যা কথা, গুজব রটানো, অলিক কথাবার্তা ও নানা কল্পকাহিনী প্রচার করে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালায়। কোনো বিষয়ে সঠিকভাবে কিছু জানা না থাকলে আন্দাজে তা না বলার জন্য আল্লাহতায়ালা কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। ...
Loading...

ইসলামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সহগবোধ্যভাবে উপস্থাপন করাই এই ব্লগ সাইটের উদ্দেশ্য। আত্মশুদ্ধি ও তাসাউফ, দোয়া, দৈনিক আমল, মাসআলা, শিক্ষনীয় ঘটনাবলী, দৈনিক করণীয় সুন্নাহ, ইসলামিক বই পরিচিতি বিষয়ে নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন।

পবিত্র কোরআনের আলোকে নবী-রাসূলদের উল্লেখযোগ্য ঘটনাসমূহ

হযরত শোয়ায়েব (আঃ)

শোয়াইব নামের অর্থ আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহপ্রাপ্ত। তিনি ইবরাহিম আ:-এর বংশোদ্ভূত নবী। শোয়াইব আ:-এর পিতা ফাহমিল, ফাহমিলের পিতা এছজার এবং তার পিতা মাদইয়ান। ইবরাহিম আ:-এর পুত্র মাদইয়ানের নামে জনপদটি পরিচিত...

হযরত আইয়ুব (আঃ)

আল্লাহর প্রিয় নবী হযরত আইয়ুব (আঃ) এর কথা পবিত্র কুরআন শরীফের চারটি স্থানে উল্লেখ হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, তিনি ছিলেন বনী ইসরাইলের একজন নবী। কেউ বলেছেন, তিনি ছিলেন মিশরীয়। তবে ঐতিহাসিক ইবনে ইসহাকের মতকে...

হযরত ইউসুফ (আঃ)

হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর পিতা ছিলেন ইয়াকূব ইবনে ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (আঃ)। তাঁরা সবাই কেন‘আন বা ফিলিস্তীনের হেবরন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ইয়াকূব (আঃ)-এর দ্বিতীয়া স্ত্রীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন ইউসুফ ও বেনিয়ামীন।...

হযরত ইয়াকুব (আঃ)

হযরত ইয়াকুব (আঃ) হযরত ইসহাক (আঃ) এর সন্তান। হযরত ইসহাক (আঃ) এর বিবাহের পর তাঁর দু’টি পুত্র সন্তান একত্রে জন্মগ্রহণ করেন। একটির নাম ঈসু এবং অপরটির নাম রাখেন ইয়াকুব। তাদের দু’ভাইয়ের মধ্যে ইয়াকুব...

হযরত ইসহাক (আঃ)

হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর দ্বিতীয়া স্ত্রি হযরত হাজেরা (আঃ)-এর গর্ভে হযরত ইসমাইল (আঃ) জন্মগ্রহন করলেন। কিন্তু প্রথমা স্ত্রী হযরত সারা (আঃ)-এর বিবাহিত জীবনের এক দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেল কিন্তু তার গর্ভে কোন...

হযরত লুত (আঃ)

নবী হযরত লুত (আঃ) এর পিতার নাম ছিল হারান। লূত (আঃ) ছিলেন ইব্রাহীম (আঃ) এর ভাইয়ের ছেলে। ভাতিজা লূত (আঃ) ছোটবেলা থেকেই ইব্রাহীম (আঃ) এর সাহচর্যে বড় হন। এবং ইব্রাহীম (আঃ) এর আহবানে সাড়া দিয়ে সঠিক ধর্ম...

হযরত ইসমাইল (আঃ)

হযরত ইসমাঈল (আঃ) ছিলেন পিতা ইবরাহীম (আঃ)-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং মা হাজেরার গর্ভজাত একমাত্র সন্তান। ঐ সময়ে ইবরাহীমের বয়স ছিল ৮৬ বছর। শিশু বয়সে তাঁকে ও তাঁর মাকে পিতা ইবরাহীম (আঃ) আল্লাহর নির্দেশে মক্কার...

হযরত ইব্রাহিম (আ:)

ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) ছিলেন হযরত নূহ (আঃ)-এর সম্ভবত: এগারোতম অধঃস্তন পুরুষ। নূহ থেকে ইবরাহীম পর্যন্ত প্রায় ২০০০ বছরের ব্যবধান ছিল। হযরত ছালেহ (আঃ)-এর প্রায় ২০০ বছর পরে ইবরাহীমের আগমন ঘটে। ঈসা থেকে...

হযরত নূহ (আ:)

হজরত আদমের (আ.) ইন্তেকালের পর অনেকদিন পেরিয়ে গেছে। শয়তানের ধোঁকায় মানুষ ধীরে ধীরে ‎মূর্তিপূজা করতে শুরু করেছে। এমন সময় আল্লাহ তাআলা তাদের মাঝে একজন নবী পাঠান—যিনি এক ‎আল্লাহর দাওয়াত দেন, শিরক না করার...

বিভিন্ন মাসআলা

quarbani
কোরবানির প্রয়োজনীয় কিছু মাসয়ালা
কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি আদায় করা ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন...
Read More
তায়াম্মুম
তায়াম্মুম
ইবাদত পালনের জন্য ইসলামে পবিত্রতা অর্জনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। পবিত্রতা অর্জন সাধারণত অজু, গোসল ইত্যাদির...
Read More
prayer-20220208130518
ফরজ সুন্নত ওয়াজিব নফল কী
শরিয়তের আদেশ-নিষেধ ও বিধানাবলি স্তরভেদে বিভিন্ন প্রকার রয়েছে। আদেশসমূহ যথা—ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত ও মুস্তাহাব...
Read More
quran-tilawat
কুরআন তেলাওয়াতের আদব সমূহ
পৃথিবীর বুকে মানুষের জন্য আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার হচ্ছে কোরআনে কারিম। কোরআন তেলাওয়াত...
Read More

ইসলামিক বই পরিচিতি

২৫ জন নবী রাসূলদের কাহিনী
২৫ জন নবী রাসূলদের কাহিনী লেখক : মাওলানা মোঃ রেজাউল করিম প্রকাশনী : লোকমান প্রকাশনী বিষয় : নবী-রাসূলদের জীবনী মূল্য: ৫০০ টাকা অনুবাদক : মাওলানা মোঃ আব্দুল মান্নান পৃষ্ঠা : 368, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ :...
জেগে ওঠো আবার
জেগে ওঠো আবার লেখক : মিজানুর রহমান আজহারি প্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন বিষয় : আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণা মূল্য: ৩৭০ টাকা পৃষ্ঠা : 216, কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 1st Published, 2023 কত মেঘ, কত রং, আর কত জোসনা।...
সুন্নাহ প্রতিদিন
সুন্নাহ প্রতিদিন লেখক : ড. রাগিব সারজানী প্রকাশনী : মাকতাবাতুল হাসান বিষয় : দুআ ও যিকির মূল্য: ৯০০ টাকা পৃষ্ঠা : 609, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published, 2022 আরবী ক্যালেন্ডারে বছর ৩৫৪ দিন হয়। এই ৩৫৪...
আল আযকার – ইমাম আন-নববী (রহ.)
আল আযকার প্রিমিয়াম এক ভলিউমে বক্সসহ পরিমার্জিত তৃতীয় সংস্করণ জন্ম থেকে মৃত্যু-জীবনের প্রতিটি ধাপে রাসূল ﷺ বর্ণিত দৈনন্দিন সুন্নাত, দুআ,যিকির,রুকইয়াহ ও আমলসমূহ। পরিমার্জিত ৩য় সংস্করণে প্রতিটি দুআর উচ্চারণ...
রিফ্লেকশন ফ্রম সূরা ইউসুফ – মিজানুর রহমান আজহারি
রিফ্লেকশন ফ্রম সূরা ইউসুফ লেখক: মিজানুর রহমান আজহারি মূল্য : ৳ ১৯০ প্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস বিষয় : স্বপ্ন-ষড়যন্ত্র-দাসত্ব-দুর্ভিক্ষ-রাজত্ব, সর্বাধিক বিক্রিত ইসলামিক বই...
আহ্বান – মিজানুর রহমান আজহারি
আহ্বান (হার্ডকভার) আধুনিক মননে আলোর পরশ লেখক: মিজানুর রহমান আজহারি মূল্য : ৳ ২৯০ প্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস বিষয় : টপ ট্রেন্ডিং , মাহে রমজান/সিয়াম/রোজা , সর্বাধিক বিক্রিত ইসলামিক বই দয়াময় রব গোটা...
ম্যাসেজ – মিজানুর রহমান আজহারি
লেখক: মিজানুর রহমান আজহারি মূল্য : ৳ ৩০০ প্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস বিষয় : টপ ট্রেন্ডিং , মাহে রমজান/সিয়াম/রোজা , সর্বাধিক বিক্রিত ইসলামিক বই ইসলাম এক নক্ষত্র, যার সংস্পর্শে সমস্ত আঁধার বিলীন হয়ে...

ইসলামিক লেকচার

ইসমাইল ইবনে মুসা মেনক

ডক্টর ইসমাইল ইবনে মুসা মেঙ্ক, যিনি মুফতি মেঙ্ক নামে অধিক পরিচিত, হলেন একজন মুসলিম শিক্ষাবিদ, ইসলাম প্রচারক ও বক্তা। জন্ম ও শিক্ষা জীবন মুফতি মেঙ্ক জিম্বাবুয়ের হারারে-তে জন্মগ্রহণ করেন, সেখানেই তার প্রারম্ভিক শিক্ষার হাতেখড়ি। উনি...

আবু তোহা মুহাম্মদ আদনান

আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান এর জীবণী: শৈশবে বাবা ইন্তেকাল করার পর মা তাকে নিয়ে রংপুরে আসেন (আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান এর নানার বাড়ি)। এরপর এখান থেকেই বেড়ে ওঠেন। ছোট থেকে তিনি ক্রিকেট খেলায় অনেক আগ্রহী ছিলেন। যুবক বয়সে ধর্মীও কাজ এবং...
5

What's New?

মুহাররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা আরবি সনের প্রথম মাস মুহাররম। মুহাররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা। এই দিন বছরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিন। পাপ …

ইবাদত পালনের জন্য ইসলামে পবিত্রতা অর্জনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। পবিত্রতা অর্জন সাধারণত অজু, গোসল ইত্যাদির মাধ্যমে হয়ে থাকে। কিন্তু কখনো কখনো এমন …

শরিয়তের আদেশ-নিষেধ ও বিধানাবলি স্তরভেদে বিভিন্ন প্রকার রয়েছে। আদেশসমূহ যথা—ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত ও মুস্তাহাব ইত্যাদি। আর নিষেধসমূহ যথা— হারাম ও মাকরুহ ইত্যাদি। …

মূলত মানুষকে সৃষ্টিই করা হয়েছে মহান আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য। যে যত বেশি আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হবে, তার প্রাপ্তি ও প্রতিদানও অনুরূপ …

এই সাইট সংক্রান্ত লেখা আহবান

আপনার মূল্যবান লেখাটির বিনিময়ে যদি একজন মুসলমানের ও আখিরাতের কোন উপকারে আসে তাহলে নিজেকে স্বার্থক ভাবব।

Submit Here
সহিহ বুখারী পরিচ্ছদঃ ৭৭ | হাদিসের বিষয়: পোশাক-পরিচ্ছদ
সহিহ বুখারী পরিচ্ছদঃ ৭৭ | হাদিসের বিষয়: পোশাক-পরিচ্ছদ
যে ব্যক্তি অহঙ্কার ব্যতীত তার লুঙ্গি ঝুলিয়ে চলাফেরা করে আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ যে ব্যক্তি...
Read More
সহিহ বুখারী পরিচ্ছদঃ ১৯ | হাদিসের বিষয়: তাহাজ্জুদ
সহিহ বুখারী পরিচ্ছদঃ ১৯ | হাদিসের বিষয়: তাহাজ্জুদ
রাতের বেলায় তাহাজ্জুদ (ঘুম হতে জেগে) সালাত আদায় করা ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহ্‌র...
Read More
সহিহ বুখারী পরিচ্ছদঃ ১০ | হাদিসের বিষয়: আযান
সহিহ বুখারী পরিচ্ছদঃ ১০ | হাদিসের বিষয়: আযান
আযানের সূচনা বর্ণনাকারীঃ আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, (জামা’আতে সালাত আদায়ের জন্য) সাহাবা-ই-কিরাম...
Read More
সহিহ বুখারী পরিচ্ছদঃ ৫৯ | হাদিসের বিষয়: সৃষ্টির সূচনা
সহিহ বুখারী পরিচ্ছদঃ ৫৯ | হাদিসের বিষয়: সৃষ্টির সূচনা
সৃষ্টির সূচনা বর্ণনাকারীঃ ‘ইমরান ইব্‌নু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন,আমি আমার উটনীটি দরজার সঙ্গে...
Read More
নিয়ত ও ইখলাস সম্পর্কিত হাদীসসমূহ
নিয়ত ও ইখলাস সম্পর্কিত হাদীসসমূহ
হাদিস নং-১ উমার বিন খাত্ত্বাব (রাঃ) বলেন, আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে,...
Read More