আল্লাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন আল্লাহর ইবাদত করার জন্য। কেউ যদি আল্লাহর হুকুম না মানে তাহলে জীবন নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদি সে তাওবা না করে, পাপ মোচন না করাতে পারে, পরকালে পাপের শাস্তি তো আছেই। কিন্তু দুনিয়াতেও পাপের অনেক প্রভাব আছে। আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশ অমান্য করাই গুনাহ বা পাপ। ছোট হোক বা বড়, গুনাহকে হালকা ভাবা উচিত নয়। কারণ ছোট গুনাহ ধীরে ধীরে বড় গুনাহের দিকে নিয়ে যায় এবং গুনাহ করতে করতে একটা সময় গুনাহকারী ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। গুনাহের বহুবিধ ক্ষতি আছে।
গুনাহ বা পাপের পরিচয়
পাপ বা গুনাহ শব্দের বাংলা আভিধানিক অর্থ হ’ল- অন্যায়, কলুষ, দুষ্কর্ম, দুষ্কৃতি ইত্যাদি।
‘পবিত্র কুরআন এবং রাসূল (ছাঃ)-এর বাণীর মাধ্যমে যা কিছু ওয়াজিব ও ফরয করা হয়েছে, তা পরিত্যাগ করা এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাঃ) যা থেকে নিষেধ করেছেন, তাতে লিপ্ত হওয়া। সেটা কথার মাধ্যমে হোক বা কর্মের মাধ্যমে হোক, প্রকাশ্যে হোক বা গোপনে হোক’।
পাপের প্রকারভেদ
প্রকৃতিগতভাবে পাপ সাধারণত ৪ প্রকার :
- আক্বীদাগত পাপ। যেমন: শিরক, মুনাফিক্বী।
- চারিত্রিক পাপ। যেমন: যিনা-ব্যভিচার, মাদকতা প্রভৃতি।
- ইবাদতে ক্ষেত্রে পাপ। যেমন: ছালাত পরিত্যাগ করা, ছালাতে অবহেলা করা, যাকাত আদায় না করা ইত্যাদি।
- মু‘আমালাতগত পাপ। যেমন: সুদ-ঘুষ, মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান, চুরি ইত্যাদি।[6]
ধরণগত দিক থেকে পাপ দুই প্রকার- বড় পাপ এবং ছোট পাপ। ইবনুল কাইয়িম (রহঃ) বলেন- ‘কুরআন, সুন্নাহ এবং সালাফদের ইজমার ভিত্তিতে পাপ দুই প্রকার- ১. কবীরা গুনাহ এবং ২. ছগীরা গুনাহ।
মানব জীবনে পাপের কুপ্রভাব
বিষ যেমন শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, তেমনিভাবে গুনাহও অন্তরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তবে তাতে ক্ষতির তারতম্য অবশ্যই রয়েছে। এমনকি দুনিয়া ও আখিরাতে যত অকল্যাণ অথবা ব্যাধি রয়েছে তার মূলে রয়েছে গুনাহ ও পাপাচার। এর কারণেই আদম ও হাওয়া (আঃ) একদা জান্নাত থেকে বের হতে বাধ্য হন। এরই কারণে শয়তান ইবলীস আল্লাহ তা‘আলার রহমত থেকে চিরতরে বঞ্চিত হয়। এরই কারণে নূহ (আঃ)-এর যুগে বিশ্বব্যাপী মহা প্লাবন দেখা দেয় এবং কিছু সংখ্যক ব্যক্তি ও বস্ত্ত ছাড়া সবই ধ্বংস হয়ে যায়। এরই কারণে হূদ (আঃ)-এর যুগে ধ্বংসাত্মক বায়ু প্রবাহিত হয় এবং সব কিছুই ধ্বংস হয়ে যায়। এরই কারণে ছালিহ (আঃ)-এর যুগে ভয়ঙ্কর চিৎকার শুনে সবাই হৃদয় ফেটে অথবা হৃদয় ছিঁড়ে মারা যায়। এরই কারণে লুত্ব (আঃ)-এর কওমকে উল্টিয়ে তাতে পাথর নিক্ষেপ করা হয় এবং শুধু একজন ছাড়া তাঁর পরিবারের সকলকেই রক্ষা করা হয়। আর অন্যরা সবাই দুনিয়া থেকে একেবারেই নির্মূল হয়ে যায়। এরই কারণে শু‘আইব (আঃ)-এর যুগে আকাশ থেকে আগুন বর্ষিত হয়। এরই কারণে ফির‘আউন ও তার বংশধররা লোহিত সাগরে ডুবে মারা যায়। এরই কারণে ক্বারূন তার ঘর, সম্পদ ও পরিবারসহ ভূমিতে ধসে যায়। এরই কারণে আল্লাহ্ তা‘আলা বনী ইস্রাঈল তথা ইহুদীদের উপর এমন শক্র পাঠিয়ে দেন, যারা তাদের এলাকায় ঢুকে তাদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস করে দেয়, তাদের পুরুষদেরকে হত্যা করে, তাদের মহিলা ও বাচ্চাদেরকে ধরে নিয়ে যায়। তাদের সকল সম্পদ লুটে নেয়। এভাবে একবার নয়। বরং দু’ দু’ বার ঘটে। পরিশেষে আল্লাহ্ তা‘আলা তাদের সম্পর্কে কসম করে বলেন,
‘(হে নবী!) তুমি স্মরণ করো সে সময়ের কথা যখন তোমার প্রভু ঘোষণা করলেন, তিনি অবশ্যই কিয়ামত পর্যন্ত ইহুদীদের প্রতি এমন লোক পাঠাবেন যারা ওদেরকে কঠিন শাস্তি দিতে থাকবে’ (আ’রাফ ৭/১৬৭)।
সুতরাং পাপের কুপ্রভাব ও ভয়াবহতা সহজেই অনুমেয়। মুমিন বান্দাকে পাপের এই কুপ্রভাব সম্পর্কে সদা সতর্ক থাকে। সে কখনো প্রবৃত্তির অনুসরণ করে পাপ ও দুনিয়াবী বাহ্যিক চাকচিক্যের অতল গহবরে নিজেকে বিলীন করতে পারে না। যেমন হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, ‘লোকেরা রাসূল (ছাঃ)-কে কল্যাণ বা নেকী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করত। আমি তাঁকে অকল্যাণ ও পাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতাম। যেন সেটা আমাকে পেয়ে না বসে’।
১. ইবাদতের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হওয়া
পাপের অন্যতম এক শাস্তি হচ্ছে, পাপের কারণে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে আল্লাহর ইবাদত থেকে বঞ্চিত করে দেন। সে বাহ্যিক ইবাদত-বন্দেগি করলেও তাতে কোনো ধরনের স্বাদ অনুভব করে না। পাপের কারণে তার অন্তর এক ধরনের অন্ধকারে ছেয়ে যায়। তখন তার আল্লাহর স্মরণ, কোরআন তিলাওয়াত, মসজিদে গমন—এগুলো অনেক কঠিন মনে হয়।
২. রিজিক থেকে বঞ্চিত হয়
প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে দুনিয়াতেই আল্লাহ তার রিজিককে সংকুচিত করে দেন। পাপের কারণে আল্লাহ তাআলা জীবনের ও রিজিকের বরকত ছিনিয়ে নেন। সাওবান (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
‘সৎকর্ম ছাড়া অন্য কিছু আয়ুষ্কাল বাড়াতে পারে না এবং দুয়া ব্যতীত অন্য কিছুতে তাকদির রদ হয় না। মানুষ তার পাপকাজের দরুন তার প্রাপ্য রিজিক থেকে বঞ্চিত হয়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪০২২)
৩. পরস্পর মতবিরোধ ও বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়
পাপের কারণে পরস্পর মতবিরোধ ও লড়াই হয়ে থাকে। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
‘দুই ব্যক্তি মহামহিম আল্লাহর জন্য অথবা ইসলামের সৌজন্যে পরস্পর ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর তাদের মধ্যকার কোনো একজনের প্রথম অপরাধ তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটায়।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৪০২)
৪. লাঞ্ছিত হয়
পাপিষ্ঠ ব্যক্তি মানুষের কাছে অপদস্ত ও লাঞ্ছিত হয়। কারণ আল্লাহ তাকে নিজেই অপমান করে থাকেন। আর যাকে আল্লাহ তাআলা লাঞ্ছিত করবেন তাকে সম্মানিত করার আর কে আছে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
‘আল্লাহ যাকে লাঞ্ছিত করেন তার কোনো সম্মানদাতা নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ করেন, যা তিনি চান।’ (সুরা হজ, আয়াত : ১৮)
৫. নিরাপত্তা চলে যায়
পাপাচারের কারণে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি যে নিরাপত্তা থাকে সেই নিরাপত্তা চলে যায়। এটা আল্লাহ তাআলার বিধান সর্বকালে সর্ব অবস্থায়। পবিত্র কোরআনে এসেছে,
‘আল্লাহ এক জনবসতির দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন, যা ছিল নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ। চতুর্দিক থেকে তার জীবিকা চলে আসত পর্যাপ্ত পরিমাণে। অতঃপর তা আল্লাহর নিয়ামতের অকৃতজ্ঞতা শুরু করে দিল। ফলে আল্লাহ তাদের কৃতকর্মের কারণে তাদের ক্ষুধা ও ভীতির পোশাক আস্বাদন করালেন।’ (সুরা : আন-নাহল, আয়াত : ১১২)
৬. সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়
পাপের কারণে কিংবা পাপাসক্ত ব্যক্তি আল্লাহকে ভুলে যায় এবং সে তার ভালো-মন্দ পার্থক্য করতে পারে না। আল্লাহ তার জন্য সেটা ভুলিয়ে দেন। তার অন্তর্দৃষ্টি ধীরে ধীরে লোপ পেতে থাকে। ফলে ভালো-মন্দ, সুন্নত-বিদআতের মধ্যে পার্থক্য করার অনুভূতি শক্তি হারিয়ে ফেলে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
‘তোমরা তাদের মতো হইয়ো না, যারা আল্লাহকে ভুলে গিয়েছিল, ফলে আল্লাহ তাকে আত্মভোলা করে দেন। বস্তুত তারাই অবাধ্য।’ (সুরা : আল-হাশর, আয়াত : ১৯)
৭. ইলম থেকে বঞ্চিত হওয়া
ইলম আল্লাহপ্রদত্ত নূর, আল্লাহ তাআলা বলেন,
‘আমি তার জন্য এক আলোর ব্যবস্থা করেছি, যা নিয়ে সে মানুষের মধ্যে চলে।’ (সুরা আনআম, আয়াত : ১২২)
আর গুনাহ ওই নূর বা আলোকে নিভিয়ে দেয়, এ জন্য গুনাহের কারণে মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি লোপ পায়। অনেক কিছু শিখেও ভুলে যায়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, অবশ্যই আমি মনে করি, মানুষ তার শিক্ষা করা ইলম ভুলে যায় তার কৃত গুনাহর কারণে।(জামিউ বয়ানিল ইলম : ১/১৯৬)
৮. অন্তরে কালো দাগ পড়ে যায়
গুনাহের দরুণ মানুষের অন্তরে মরিচা ধরে যায়। হৃদয়ে কালো দাগ পড়ে যায়। ফলে তা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। তখন ভালো কথা আর ভালো লাগে না, চাইলেই ভালো কাজে মন বসানো যায় না। রাসুল (সা.) বলেন,
‘যখন কোন মুমিন গুনাহ করে তখন তার অন্তরে একটি কালো দাগ পড়ে তারপর সে যখন তাওবা করে এবং গুনাহ থেকে বিরত থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, তখন তার অন্তর পরিষ্কার হয়ে যায়। আর যখন মুমিন আবারও গুনাহ করে তখন অন্তরের কালো দাগ বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে অন্তরে আল্লাহর কোরআনে বর্ণিত ‘রাইন’ তথা মরিচা প্রভাব বিস্তার করে।’ ( মিশকাত, হাদিস : ২২৮১)
৯. কর্ম সম্পাদন কঠিন হয়ে যায়
যারা আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর অনুগত হয়ে চলে, আল্লাহ তাআলা তাদের সময়ে বরকত দান করেন। ফলে খুব সহজেই, খুব কম সময়েই তারা নিজ নিজ কাজ সম্পন্ন করতে পারে। আর যারা সৃষ্টিকর্তার নাফরমানিতে লিপ্ত থাকে তাদের মধ্যে অলসতা জেঁকে বসে আর তাদের জন্য কর্মসম্পাদন কঠিন হয়ে পড়ে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
‘যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার যাবতীয় কাজ সহজ করে দেন।’ (সুরা তালাক, আয়াত : ৪)
১০. গুনাহ ছাড়া কঠিন হয়ে যায়
গুনাহের প্রথম পর্যায়ে আমরা ভাবি, আজ না হয় গুনাহটা করেই ফেলি। তারপর তা ছেড়ে দিয়ে তাওবা করে ফেলব। কিন্তু বাস্তবতা পুরোপুরি উল্টো। কারণ একটি গুনাহ অন্য গুনাহের জন্ম দেয়। একটি গুনাহের কারণে আরেকটি গুনাহ সংঘটিত হয়। ফলে গুনাহ ছেড়ে রবের দিকে ফিরে আসা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। এ জন্য যথাসম্ভব নিজেকে গুনাহ থেকে বিরত রাখা। গুনাহ সংঘটিত হয়ে গেলে কালক্ষেপণ না করে তাওবা করে নেয়া। ইরশাদ হয়েছে,
‘তোমরা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য গুনাহ পরিত্যাগ করো।’ (সুরা আনআম, আয়াত : ১২০)
১১. শাস্তির মুখোমুখি হওয়া
গুনাহের কারণে দুনিয়াতে যেভাবে নানা রকম সংকট আর সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে, তেমনি পরকালেও আল্লাহ তাআলার শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। ইরশাদ হয়েছে,
‘তোমরা প্রকাশ্য ও গোপন পাপ বর্জন করো, যারা পাপ করে, অচিরেই তাদের পাপের সমুচিত শাস্তি দেওয়া হবে।’ (সুরা আনআম, আয়াত : ১২০)
১২. পাপের কারণে যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যত বিপর্যয় সৃষ্টি হয়, তার সবগুলো আমাদের পাপের ফসল। খরা, অনাবৃষ্টি, ভূমিকম্প, প্লাবন, মহামারি প্রভৃতি বিস্মৃতির মূল কারণ হ’ল আমাদের কৃত পাপ ও গুনাহ। মহান আল্লাহ বলেন,
‘মানুষের কৃতকর্মের ফলে জলে-স্থলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, যাতে তিনি তাদেরকে তাদের কিছু কর্মের শাস্তি আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে’ (রূম ৩০/৪১)।
অত্র আয়াতে ‘কিছু কর্মের’ অর্থ হ’ল কিছু পাপের শাস্তি মানুষ দুনিয়ায় ভোগ করবে। আর সব বাকী থাকবে আখেরাতের জন্য। অর্থাৎ পাপ আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জগতে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন,
‘হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও।
- (১) যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকেদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি।
- (২) যখন কোন জাতি ওযন ও পরিমাপে কারচুপি করে, তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, কঠিন বিপদ-মুসীবত এবং রাষ্ট্রীয় নির্যাতন।
- (৩) যখন তার যাকাত আদায় করে না, তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়া হয়। যদি ভূ-পৃষ্ঠে চতুস্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না।
- (৪) যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাশীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ সবকিছু কেড়ে নেয়।
- (৫) যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেন’।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে বৈশ্বিক জীবনে যত মহামারি, সংকট, বিপদাপদ ও কষ্টের প্রাদুর্ভাব ধটে, তা কেবল আমাদের পাপ ও অবাধ্যতার কারণে। মহান আল্লাহ আমাদেরকে এহেন কর্ম থেকে রক্ষা করুন।
শেষ নবী (সা:) এর উম্মত হিসাবে আমরা একটা স্পেশাল সুবিধা পেয়ে থাকি। আমরা যখন কোন গুনাহ করে ফেলি তখন সাথে সাথে আমাদের উপর কোন আযাব নাযিল হয়না। আল্লাহ অপেক্ষা করতে থাকেন আমাদের অশ্রুসিক্ত নয়ন আর তওবার। অতিরিক্ত দেরী হয়ে গেলে তারপর হয়তো কোন রোগ কিংবা অন্য কোন বিপদ দিয়ে চেষ্টা করেন গুনাহটা মাফ করে দেবার।
সংগৃীত