Daily Amol | Zikir | Doa | Sunnah | Quran Tafsir
  • 0 Comments
হযরত শোয়ায়েব (আঃ)

শোয়াইব নামের অর্থ আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহপ্রাপ্ত। তিনি ইবরাহিম আ:-এর বংশোদ্ভূত নবী। শোয়াইব আ:-এর পিতা ফাহমিল, ফাহমিলের পিতা এছজার এবং তার পিতা মাদইয়ান। ইবরাহিম আ:-এর পুত্র মাদইয়ানের নামে জনপদটি পরিচিত হয়েছে। হজরত শোয়াইব আ: এই জনপদে প্রেরিত হয়েছিলেন। ইনি হজরত মূসা আ:-এর শশুর ছিলেন। কওমে লুতের ধ্বংসের অনতিকাল পরে কওমে মাদইয়ানের প্রতি তিনি প্রেরিত হন। চমৎকার বাগ্মিতার কারণে তিনি নবীদের মধ্যে সেরা বাগ্মী নামে খ্যাত ছিলেন। কোথাও কোথাও ‘আছহাবুল আইকাহ’ বলা হয়েছে যার অর্থ জঙ্গলের বাসিন্দারা। মাদইয়ান ছিলেন হাজেরা ও সারাহর মৃত্যুর পর হজরত ইবরাহিম আ: আরব বংশোদ্ভূত কেনআনি স্ত্রী ইয়াক্কতিনের…

Read more

  • 0 Comments
হযরত আইয়ুব (আঃ)

আল্লাহর প্রিয় নবী হযরত আইয়ুব (আঃ) এর কথা পবিত্র কুরআন শরীফের চারটি স্থানে উল্লেখ হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, তিনি ছিলেন বনী ইসরাইলের একজন নবী। কেউ বলেছেন, তিনি ছিলেন মিশরীয়। তবে ঐতিহাসিক ইবনে ইসহাকের মতকে অনেকে সঠিক বলেছেন। তাঁর মতে, হযরত আইয়ুবের বংশ পরিচয় হলো হযরত ইব্রাহীমের পুত্র ইসহাক, হযরত ইসহাকের পুত্র ঈশু, ঈশুর পুত্র আমুশ, আমুশের পুত্র আইয়ুব। হযরত আইয়ুব (আঃ) খ্রিষ্টপূর্ব নবম বা দশম শতকের লোক ছিলেন। হযরত আইয়ুব আল্লাহর নবীদের একজন। তার পিতার দিক থেকে তার বংশধর চার বা পাঁচজন মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ইবরাহিম (আ.)-এর কাছে পৌঁছেছে। তার মাও…

Read more

  • 0 Comments
হযরত ইউসুফ (আঃ)

হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর পিতা ছিলেন ইয়াকূব ইবনে ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (আঃ)। তাঁরা সবাই কেন‘আন বা ফিলিস্তীনের হেবরন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ইয়াকূব (আঃ)-এর দ্বিতীয়া স্ত্রীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন ইউসুফ ও বেনিয়ামীন। শেষোক্ত সন্তান জন্মের পরপরই তার মা মৃত্যুবরণ করেন। পরে ইয়াকূব (আঃ) তাঁর স্ত্রীর অপর এক বোন লায়লা-কে বিবাহ করেন। ইউসুফ-এর সাথে মিসরে পুনর্মিলনের সময় ইনিই মা হিসাবে সেখানে পিতার সাথে উপস্থিত ছিলেন। হযরত ইয়াকূব (আঃ) মিসরে পুত্র ইউসুফের সাথে ১৭ বছর মতান্তরে ২০ বছরের অধিককাল অতিবাহিত করেন। অতঃপর ১৪৭ বছর বয়সে সেখানেই ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে অছিয়ত করে যান যেন তাঁকে…

Read more

  • 0 Comments
হযরত ইয়াকুব (আঃ)

হযরত ইয়াকুব (আঃ) হযরত ইসহাক (আঃ) এর সন্তান। হযরত ইসহাক (আঃ) এর বিবাহের পর তাঁর দু’টি পুত্র সন্তান একত্রে জন্মগ্রহণ করেন। একটির নাম ঈসু এবং অপরটির নাম রাখেন ইয়াকুব। তাদের দু’ভাইয়ের মধ্যে ইয়াকুব (আঃ) মাতার নিকট অতি প্রিয় ছিল। আর তাঁর ভাই ঈসু পিতার নিকট অতি আদরের ছিল। দু’ভাইয়ের মধ্যে কিছুটা মনের গড়মিল হয়েছিল। তাই হয্রত ইয়াকুব (আঃ) মাতার পরামর্শে তাঁর মামা বাড়ি ফান্দানে বসবাস করার জন্য চলে যান। ফাদ্দান যাওয়ার পরে রাত্র হয়ে গেল। রাত্র যাপনের উদ্দেশ্যে তিনি একটি বড় পাথরের উপর ঘুমায়ে পড়লেন। তখন তিনি স্বপ্নে দেখলেন যে,…

Read more

  • 0 Comments
হযরত ইসহাক (আঃ)

হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর দ্বিতীয়া স্ত্রি হযরত হাজেরা (আঃ)-এর গর্ভে হযরত ইসমাইল (আঃ) জন্মগ্রহন করলেন। কিন্তু প্রথমা স্ত্রী হযরত সারা (আঃ)-এর বিবাহিত জীবনের এক দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেল কিন্তু তার গর্ভে কোন সন্তান জন্মলাভ করে নি। তিনি নিজেকে বন্ধ্যা মনে করেতেছিলেন। এমনই এক নৈরাজ্যজনক অবস্থায় আল্লাহ পাক হযরত সারার গর্ভে সন্তানের সুসংবাদ ফেরেস্তার মাধ্যমে প্রেরণ করলেন। ফেরেস্তাগণ মানুষের আকৃতিতে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর কাছে উপস্থিত হলেন। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) খুব অতিথি পরায়ন ছিলেন। তাই তিনি অতিথিদের জন্য একটি গরুর বাচ্চা যবেহ করে গোস্ত ভুনা করে এনে রাখলেন। কিন্তু অতিথিগণ খাদ্য…

Read more

  • 0 Comments
হযরত লুত (আঃ)

নবী হযরত লুত (আঃ) এর পিতার নাম ছিল হারান। লূত (আঃ) ছিলেন ইব্রাহীম (আঃ) এর ভাইয়ের ছেলে। ভাতিজা লূত (আঃ) ছোটবেলা থেকেই ইব্রাহীম (আঃ) এর সাহচর্যে বড় হন। এবং ইব্রাহীম (আঃ) এর আহবানে সাড়া দিয়ে সঠিক ধর্ম গ্রহন করেন ও সেই সত্য ধর্ম প্রচার করার জন্য মাতৃভূমি ইরাক ত্যাগ করে হিজরত করে মিশরে চলে আসেন। তিনি ইব্রাহীম (আঃ) এর যুগেই নবুয়ত প্রাপ্ত হন। মিসরে ইব্রাহীম (আঃ) এর সাথে লূত (আঃ) কিছুদিন কাজ করার পর ইব্রাহীম (আঃ) মিসর হতে সিরিয়ার ফিলিস্তিনে, আর লূত (আঃ) জর্দান রাজ্য বা ট্রান্সজর্দান এলাকায় চলে আসেন।…

Read more

  • 0 Comments
হযরত ইসমাইল (আঃ)

হযরত ইসমাঈল (আঃ) ছিলেন পিতা ইবরাহীম (আঃ)-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং মা হাজেরার গর্ভজাত একমাত্র সন্তান। ঐ সময়ে ইবরাহীমের বয়স ছিল ৮৬ বছর। শিশু বয়সে তাঁকে ও তাঁর মাকে পিতা ইবরাহীম (আঃ) আল্লাহর নির্দেশে মক্কার বিজন ভূমিতে রেখে আসেন। সেখানে ইবরাহীমের দো‘আর বরকতে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে যমযম কূপের সৃষ্টি হয়। অতঃপর ইয়ামনের ব্যবসায়ী কাফেলা বনু জুরহুম গোত্র কর্তৃক মা হাজেরার আবেদনক্রমে সেখানে আবাদী শুরু হয়। ১৪ বছর বয়সে আল্লাহর হুকুমে মক্কার অনতিদূরে মিনা প্রান্তরে সংঘটিত হয় বিশ্ব ইতিহাসের বিস্ময়কর ত্যাগ ও কুরবানীর ঘটনা। পিতা ইবরাহীম কর্তৃক পুত্র ইসমাঈলকে স্বহস্তে কুরবানীর উক্ত…

Read more

  • 0 Comments
হযরত ইব্রাহিম (আ:)

ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) ছিলেন হযরত নূহ (আঃ)-এর সম্ভবত: এগারোতম অধঃস্তন পুরুষ। নূহ থেকে ইবরাহীম পর্যন্ত প্রায় ২০০০ বছরের ব্যবধান ছিল। হযরত ছালেহ (আঃ)-এর প্রায় ২০০ বছর পরে ইবরাহীমের আগমন ঘটে। ঈসা থেকে ব্যবধান ছিল ১৭০০ বছর অথবা প্রায় ২০০০ বছরের। তিনি ছিলেন ‘আবুল আম্বিয়া’ বা নবীগণের পিতা এবং তাঁর স্ত্রী ‘সারা’ ছিলেন ‘উম্মুল আম্বিয়া’ বা নবীগণের মাতা। তাঁর স্ত্রী সারার পুত্র হযরত ইসহাক্ব-এর পুত্র ইয়াকূব (আঃ)-এর বংশধর ‘বনু ইসরাঈল’ নামে পরিচিত এবং অপর স্ত্রী হাজেরার পুত্র হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর বংশে জন্ম নেন বিশ্বনবী ও শেষনবী হযরত মুহাম্মাদ(ছাল্লাল্লা-হু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)।…

Read more

  • 0 Comments
হযরত নূহ (আ:)

হজরত আদমের (আ.) ইন্তেকালের পর অনেকদিন পেরিয়ে গেছে। শয়তানের ধোঁকায় মানুষ ধীরে ধীরে ‎মূর্তিপূজা করতে শুরু করেছে। এমন সময় আল্লাহ তাআলা তাদের মাঝে একজন নবী পাঠান—যিনি এক ‎আল্লাহর দাওয়াত দেন, শিরক না করার নসিহত করেন। তার নাম হজরত নুহ (আ.)। হযরত নূহ (আঃ) এর প্রকৃত নামের ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন তাঁর প্রকৃত নাম ছিল আবদুল গাফফার। কেউ কেউ বলেছেন, ‘ইয়াশকুর’। (সাবীঃ খন্ডঃ ৩, পৃষ্ঠাঃ ১১৫, জালালাইন শরীফের হাশিয়াঃ পৃষ্ঠাঃ ২৮৮)। আবার কেউ বলেছেন, তাঁর প্রকৃত নাম ছিল আবদুল জব্বার। (হায়াতুল হায়ওয়ানঃ খন্ডঃ ১, পৃষ্ঠাঃ ১২) কেউ কেউ বলেছেন,…

Read more

  • 0 Comments
হযরত শীষ (আ:)

নাম ও পরিচয় হজরত শীষ (আ:) হজরত হাবিল এর মৃত্যুর পাঁচ বছর পরে জন্মগ্রহণ করেন। হাবীলের ইন্তেকালের পর হজরত আদম (আ:) ও হজরত হাওয়া (আ:) পুত্র শোকে শোকাহত ও মর্মাহত ছিলেন। আল্লাহতায়ালা তাদের দুঃখ-চিন্তা দূর করার লক্ষ্যে তাদেরকে হজরত শীষ (আ:) এর মতো সুন্দর সন্তান দান করেছেন। শীষ শব্দের অর্থ আল্লাহর দান । যখন তিনি জন্ম লাভ করেন, তখন হজরত জিব্রাইল (আ:) হজরত হাওয়া (আ:) কে বললেন, এই বাচ্চাটি হাবীলের পরিবর্তে আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার জন্য উপহারস্বরূপ। হজরত শীষ (আ:) এর জন্মের সময় হজরত আদম (আ:) এর বয়স হয়েছিল ২৩৫…

Read more