Daily Amol | Zikir | Doa | Sunnah | Quran Tafsir
৭০টি ছোট আমল যাতে রয়েছে বহু ফজিলত
আমল: ১ প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুণ - আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারীকা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়া রাসূলুহূ এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৩৪ আমল: ২ প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠ করুণ এতে মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতে যেতে পারবেন। সহিহ নাসাই, সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস নং- ৯৭২। আমল: ৩ প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার এবং ১ বার (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর) পাঠ করুণ ...
ঈদের রাতের ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আমল
ঈদের রাতটি মুসলিমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। এ রাতে জেগে থেকে ইবাদতের ফলে মুমিনের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হওয়ার সুসংবাদ দেয়া হয়েছে। ঈদের রাত শুধু আনন্দ উৎসবের রাত নয়। বরং আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও সেতুবন্ধনের রাত এটি। ঈদের রাতের ইবাদাত বন্দেগির ফজিলত, গুরুত্ব ও মর্যাদা অনেক। এ ব্যাপারে হাদিসের অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। সুতরাং এ রাতটিকে অবহেলায়, গান বাজনায়, মেহেদি উৎসব ও সাজ-সজ্জায় ব্যস্ত না রেখে কুরআন তিলাওয়াত ও নামাজে কাটানো মুসলিম উম্মাহর ঈমানের দাবি। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. এ এক দীর্ঘ হাদীসে বর্ণনা করেন, যখন ঈদুল ফিতরের রাতের আগমন হয়। তখন ওই রাতকে পুরস্কার দানের রাত হিসেবে অভিহিত করা হয়। ...
সব ধরনের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকার সুন্নাহ্
দুষ্টু জিনেরা অদৃশ্য থেকে মানুষের ক্ষতি করে আর খারাপ মনের মানুষেরা নিজেদের আড়াল করে আমাদের সাফল্যকে বিনষ্ট করতে চায়। ব্যবসা, চাকরি-বাকরি, বিয়েশাদি ইত্যাদি দৈনন্দিন জীবনযাপনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর যাদু-টোনার মাধ্যমে ক্ষতিসাধনের অপচেষ্টা করে তারা। এসব বিষয় থেকে নিরাপদ থাকতে রাসুল (সা.) আমাদের একটি সহজ আমল শিখিয়েছেন। আমরা যদি ইখলাসের সঙ্গে ও আন্তরিকভাবে আমলটি করতে পারি, আশা করি-আল্লাহতায়ালা আমাদের সব রকমের বালা-মসিবত এবং অনিষ্ট ও অপকারিতা থেকে নিরাপদ রাখবেন। ওই আমলটি সম্পর্কে হজরত আব্দুল্লাহ বিন খুবাইব (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন গভীর অন্ধকার রাতে বৃষ্টিপাতের মধ্যে আমরা রাসুল (সা.)-এর খোঁজে বের হলাম। খুঁজতে খুঁজতে তাঁকে পেলামও। তখন তিনি ইরশাদ করলেন (হে আব্দুল্লাহ!) ...
অবিশ্বাস্য ফজিলতের ৫টি জিকির
প্রিয়নবী (স.) উম্মতকে কিছু নির্দিষ্ট দোয়া ও জিকির প্রতিদিন ১০০ বার করার জন্য উৎসাহিত করেছেন এবং ফজিলতও বর্ণনা করেছেন। উম্মত হিসেবে আমাদের উচিত প্রতিদিন জিকিরগুলো নবীজির কথা অনুযায়ী যথানিয়মে আদায় করা, যাতে নবীজির ঘোষিত পুরস্কার লাভ করতে পারি। ১) প্রতিদিন ১০০ বার এই দোয়া পড়া— لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’ অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরিক নেই, রাজত্ব একমাত্র তাঁরই, সব প্রশংসা একমাত্র তাঁরই জন্য, আর ...
ঘুমের আগে যেসব সুরা পড়তেন নবীজি
কোরআনের সঙ্গে মহানবী (স.)-এর সম্পর্ক ছিল সুগভীর। তিনি বেশি পরিমাণ কোরআন তেলাওয়াত করতেন। অন্যের তেলাওয়াত শুনতেন। ঘুমের আগেও বিশেষ কিছু সুরা তেলাওয়াত করতেন প্রিয়নবী (স.)। সুরা মুলক ও সাজদা: রাসুলুল্লাহ (স.) প্রতিদিন ঘুমানোর আগে সুরা মুলক ও সুরা সাজদা পাঠ করতেন। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী (স.) ‘আলিফ লাম মিম, তানজিলু’ (সাজদা) ও ‘তাবারাকাল্লাজি’ (মুলক) পাঠ না করে ঘুমাতেন না।’ (সুনানে তিরমিজি: ২৮৯২) সুরা বনি ইসরাইল ও জুমার: অন্য বর্ণনায় এসেছে তিনি ঘুমের আগে সুরা বনি ইসরাইল ও সুরা জুমার পাঠ করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘নবী (স.) সুরা জুমার ও বনি ইসরাইল পাঠ না করে ঘুমাতেন না।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৪০৫) ...
পাহাড়সম ঋণ পরিশোধের দোয়া
ঋণে জড়ানোর ব্যাপারে মহানবী (স.) আল্লাহর কাছে অত্যধিক আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেছেন, আল্লাহর রাসূল (স.) সালাতে এই বলে দোয়া করতেন— হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে গুনাহ ও ঋণ থেকে পানাহ চাচ্ছি। এক প্রশ্নকারী জিজ্ঞেস করলো, (হে আল্লাহর রাসুল) আপনি ঋণ থেকে বেশি বেশি পানাহ চান কেন? তিনি জওয়াব দিলেন, মানুষ ঋণগ্রস্ত হলে মিথ্যা বলে এবং ওয়াদা ভঙ্গ করে। (বুখারি: ২৩৯৭) ঋণমুক্তির দোয়া একবার চতুর্থ খলিফা আলী (রা.)-এর কাছে এক ব্যক্তি ঋণ পরিশোধের জন্যে কিছু সাহায্য চায়। এ সময় আলী (রা.) তাকে বলেন, আমি কি তোমাকে কয়েকটি শব্দ শিক্ষা দেব, যা আমাকে রাসুলুল্লাহ (সা.) শিক্ষা দিয়েছেন? ...
আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচার দোয়া ও আমল
আল্লাহ তাআলা পরম করুণাময় ও দয়াবান। কিন্তু বান্দার কিছু গুরুতর অপরাধ যেমন কুফুরি কথা, মা-বাবাকে কষ্ট দেওয়া, নবী ও মুমিনদের হত্যা করা, মুরতাদ হওয়া, চতুষ্পদ জন্তুর উপাসনা বা শিরক করা ইত্যাদি কারণে তিনি ভীষণ রাগ করেন। তাই মহান আল্লাহর ক্রোধ থেকে বেঁচে থাকতে সেসব মারাত্মক গুনাহ থেকে বিরত থাকতে হবে। একইসঙ্গে তাঁর কাছে দোয়া করতে হবে। আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচাতে প্রিয়নবী (স.) তাঁর প্রিয় উম্মতকে দোয়া ও আমল শিক্ষা দিয়েছেন। দোয়া اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيعِ سَخَطِكَ ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন জাওয়ালি নি‘মাতিকা ওয়া তাহবিলি আফিয়াতিকা ওয়া ফুজাআতি নিকমাতিকা ওয়া জামি‘য়ি সাখাতিকা’ অর্থ: ...
যে দোয়া ৩ বার পড়লে কেউ ক্ষতি করতে পারবে না
বান্দার যেকোনো সমস্যায় আল্লাহ তাআলা একমাত্র সহায়। তিনি বান্দাকে সাহায্য করেন, দোয়া কবুল করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা গাফির: ৬০) তাই বান্দার দায়িত্ব হলো— যেকোনো প্রয়োজনে দয়াবান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া। প্রিয়নবী (স.) বিভিন্ন সময় ও প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দোয়া করেছেন এবং উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন। তার একটি হলো- আচমকা বিপদাপদ ও যেকোনো ক্ষতি থেকে বাঁচার দোয়া। দোয়াটি হলো- بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلاَ فِي السّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল্লাযী লা ইয়াদ্বুররু মা‘আ ইসমিহী শাইউন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিস সামা-ই, ওয়াহুয়াস সামী‘উল ‘আলীম। অর্থ: ‘আল্লাহর নামে, ...