Daily Amol | Zikir | Doa | Sunnah | Quran Tafsir
  • 0 Comments
ঘুমের আগে যেসব সুরা পড়তেন নবীজি

কোরআনের সঙ্গে মহানবী (স.)-এর সম্পর্ক ছিল সুগভীর। তিনি বেশি পরিমাণ কোরআন তেলাওয়াত করতেন। অন্যের তেলাওয়াত শুনতেন। ঘুমের আগেও বিশেষ কিছু সুরা তেলাওয়াত করতেন প্রিয়নবী (স.)। সুরা মুলক ও সাজদা: রাসুলুল্লাহ (স.) প্রতিদিন ঘুমানোর আগে সুরা মুলক ও সুরা সাজদা পাঠ করতেন। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী (স.) ‘আলিফ লাম মিম, তানজিলু’ (সাজদা) ও ‘তাবারাকাল্লাজি’ (মুলক) পাঠ না করে ঘুমাতেন না।’ (সুনানে তিরমিজি: ২৮৯২) সুরা বনি ইসরাইল ও জুমার: অন্য বর্ণনায় এসেছে তিনি ঘুমের আগে সুরা বনি ইসরাইল ও সুরা জুমার পাঠ করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘নবী (স.) সুরা জুমার ও…

Read more

  • 0 Comments
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম-কানুন

তাহাজ্জুদ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের ইবাদত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর শ্রেষ্ঠ নামাজ তাহাজ্জুদ। মহানবী (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘রমজানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা হলো আল্লাহর মাস মহররমের রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সর্বশ্রেষ্ঠ নামাজ হলো রাতের (তাহাজ্জুদের) নামাজ।’ (মুসলিম: ১১৬৩) রাতের শেষভাগে ঘুম থেকে ওঠে যে নামাজ আদায় করা হয়, মূলত সেটিই তাহাজ্জুদ। তাহাজ্জুদ একটি নফল ইবাদত। এই ইবাদত নেককার ও উত্তম বান্দাদের বৈশিষ্ট্য। অর্থাৎ প্রকৃত মুমিন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ‍গুরুত্বের সঙ্গে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে তাহাজ্জুদ আদায়কারীর প্রশংসায় ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা শয্যা ত্যাগ করে তাদের প্রতিপালককে ডাকে আশায়…

Read more

  • 0 Comments
পাহাড়সম ঋণ পরিশোধের দোয়া

ঋণে জড়ানোর ব্যাপারে মহানবী (স.) আল্লাহর কাছে অত্যধিক আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেছেন, আল্লাহর রাসূল (স.) সালাতে এই বলে দোয়া করতেন— হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে গুনাহ ও ঋণ থেকে পানাহ চাচ্ছি। এক প্রশ্নকারী জিজ্ঞেস করলো, (হে আল্লাহর রাসুল) আপনি ঋণ থেকে বেশি বেশি পানাহ চান কেন? তিনি জওয়াব দিলেন, মানুষ ঋণগ্রস্ত হলে মিথ্যা বলে এবং ওয়াদা ভঙ্গ করে। (বুখারি: ২৩৯৭) ঋণমুক্তির দোয়া একবার চতুর্থ খলিফা আলী (রা.)-এর কাছে এক ব্যক্তি ঋণ পরিশোধের জন্যে কিছু সাহায্য চায়। এ সময় আলী (রা.) তাকে বলেন, আমি কি তোমাকে…

Read more

  • 0 Comments
দান-সদকার যে প্রতিদান দুনিয়াতে দেওয়া হয়

দান-সদকা একটি মহান ইবাদত। এই ইবাদতের অসংখ্য পুরস্কারের কথা রয়েছে কোরআন-হাদিসে। দান-সদকার প্রতিফল শুধু আখেরাতের জন্য সীমাবদ্ধ নয়, দুনিয়াতেও রয়েছে এর নানাবিধ উপকার। বিপদাপদ দূর হয় আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেন, ‘তোমরা অধিক হারে সদকা করো। কেননা বালা-মুসিবত সদকাকে অতিক্রম করতে পারে না।’ (বায়হাকি: ৮০৮৩) সম্পদ বাড়ে সদকার বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা এর চেয়ে অধিক ও উত্তম জিনিস দান করেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানখয়রাত বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোনো অবিশ্বাসী পাপীকে।’ (সুরা বাকারা: ২৭৬) আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেছেন,…

Read more

  • 0 Comments
আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচার দোয়া ও আমল

আল্লাহ তাআলা পরম করুণাময় ও দয়াবান। কিন্তু বান্দার কিছু গুরুতর অপরাধ যেমন কুফুরি কথা, মা-বাবাকে কষ্ট দেওয়া, নবী ও মুমিনদের হত্যা করা, মুরতাদ হওয়া, চতুষ্পদ জন্তুর উপাসনা বা শিরক করা ইত্যাদি কারণে তিনি ভীষণ রাগ করেন। তাই মহান আল্লাহর ক্রোধ থেকে বেঁচে থাকতে সেসব মারাত্মক গুনাহ থেকে বিরত থাকতে হবে। একইসঙ্গে তাঁর কাছে দোয়া করতে হবে। আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচাতে প্রিয়নবী (স.) তাঁর প্রিয় উম্মতকে দোয়া ও আমল শিক্ষা দিয়েছেন। দোয়া اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيعِ سَخَطِكَ ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন জাওয়ালি নি‘মাতিকা…

Read more

  • 0 Comments
যে দোয়া ৩ বার পড়লে কেউ ক্ষতি করতে পারবে না

বান্দার যেকোনো সমস্যায় আল্লাহ তাআলা একমাত্র সহায়। তিনি বান্দাকে সাহায্য করেন, দোয়া কবুল করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা গাফির: ৬০) তাই বান্দার দায়িত্ব হলো— যেকোনো প্রয়োজনে দয়াবান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া। প্রিয়নবী (স.) বিভিন্ন সময় ও প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দোয়া করেছেন এবং উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন। তার একটি হলো- আচমকা বিপদাপদ ও যেকোনো ক্ষতি থেকে বাঁচার দোয়া। দোয়াটি হলো- بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلاَ فِي السّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল্লাযী লা ইয়াদ্বুররু মা‘আ ইসমিহী শাইউন ফিল…

Read more

  • 0 Comments
হাদিসের আলোকে সর্বোত্তম জিকির

জিকির শব্দের অর্থ স্মরণ করা, বর্ণনা করা ইত্যাদি। ইসলামের পরিভাষায় আল্লাহর স্মরণকে জিকির বলা হয়। জিকির নফল ইবাদত। ইসলামে ফরজের পর নফল ইবাদতের গুরুত্ব অপরিসীম। কেয়ামতের দিন নফল ইবাদত সওয়াবের পাল্লা ভারি করবে। হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয় কেয়ামতের দিন যদি বান্দার ফরজের (ইবাদতের) মধ্যে কিছু কম পড়ে যায়, তাহলে আল্লাহ তায়ালা বলবেন, ‘দেখ তো! আমার বান্দার কিছু নফল (ইবাদত) আছে কি না, যা দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করে দেওয়া হবে?’ অতঃপর তার অবশিষ্ট সমস্ত আমলের হিসাব ঐভাবে গৃহীত হবে। -(আবু…

Read more

  • 0 Comments
সহজ ১০টি জিকির

(১) প্রতিদিন ১০০ বার সুবহান আল্লাহ্ পাঠ করলে ১০০০ সাওয়াব লিখা হয় এবং ১০০০ গুনাহ মাফ করা হয়। [সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৩] (২) ‘আলহামদুলিল্লাহ’ মীযানের পাল্লাকে ভারী করে দেয় এবং সর্বোত্তম দোআ’। [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/ ৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২] (৩) ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সর্বোত্তম যিকর। [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/ ৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২] (৪) ‘সুবহান আল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর’ এই কালিমাগুলি আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় এবং নবী (সঃ) বলেনঃ পৃথিবীর সমস্ত জিনিসের চইতে আমার নিকট অধিক প্রিয়। [ সহীহ মুসলিম -৩/১৬৮৫, ৪/২০৭২] (৫) যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে…

Read more